জাহানারা কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার আমাদের আছে- • কম্পিউটার প্রশিক্ষন • কম্পিউটার কম্পোজ • কম্পিউটার সাভিসিং • ইন্টারনেট • ছবি তোলা • আনলাইন ভারতের ভিসা আবেদন • আনলাইন চাকরির আবেদন • পরিক্ষার ফলাফল • আনলাইনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সহ ভবভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভতির আবেদন • এ ছাড়া সকল প্রকার কম্পিউটারের কাজ করা হয় #

বুধবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০১৬

চুড়ামনকাটিতে মহাসড়কে ট্রাকে ফের চাঁদাবাজি

বিল্লাল হোসেন: যশোর সদর উপজেলার চুড়মনকাটিতে মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি করে ট্রাক চালকদের জিম্মি করে আবারো চাঁদাবাজিতে নেমেছে চক্রটি। তাদের কারণে সড়ক দুর্ঘটনায় এক পুলিশ সদস্য নিহতের পর স্থানীয় লোকজন ক্ষুব্ধ চাঁদাবাজদের টোল ঘর ভাঙচুরের পর অগ্নিসংযোগ করে। ওই সময় চাঁদাবাজরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনার তিনদিন না যেতেই ওই চক্র আবারো সড়কে চাঁদাবাজি শুরু করেছে বলে জানা গেছে। যে কারণে স্থানীয় লোকজনের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, ছাতিয়ানতলা গ্রামের উজ্জ্বল ও চুড়ামনকাটির বাদশার নেতৃত্বে একটি চক্র মহাসড়কের পাশে অবস্থান নিয়ে ট্রাক ও পিকআপ চালকদের জিম্মি করে চাঁদাবাজি চালিয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। তারা চুড়ামনকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ও বিজয়নগর মোড়ে আস্তানা গেড়ে রাত দিনি চাঁদাবাজি করছে। যে কারণে গুরুত্বপূর্ণ এ দুটি স্থানে প্রায় সময় যানজট লেগেই থাকে। ফলে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছে। সর্বশেষ ১৯ জানুয়ারি দুপুরে বিজয়নগর মোড়ে যানজটের কবলে পড়ে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী এক পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে নিহত হন। তার নাম ফিরোজ চৌধুরী (২২)। তিনি চৌগাছা উপজেলার দুর্গাবরকাটি গ্রামের আবুল কালাম চৌধুরীর একমাত্র ছেলে। এ ঘটটনার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ জনতা দু’ঘণ্টা অবরোধ ও বিক্ষোভ করে। এ সময় তারা টোল আদায়কারী চাঁদাবাজদের টোল ঘর ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। ভয়ে চাঁদাবাজরা পালিয়ে যায়। উত্তপ্ত পরিস্থিতির খবর শুনে ঘটনাস্থলে যান যশোরের সহকারী পুলিশ সুপার (ক-সার্কেল) ভাস্কর সাহা, কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি তদন্ত আব্দুল গণিসহ একদল পুলিশ। তারা বিক্ষুব্ধদের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করেন। এলাকাবাসী জানান, এএসপি ভাস্কর সাহা তাদের আশ্বাস্ত করেছিলেন টোল আদায়কারী চাঁদাবাজদের স্থানীয়ভাবে উচ্ছেদপূর্বক তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। যে কারণে তারা সড়ক অবরোধ তুলে নিয়ে ছিলেন। তারা আরো বলেন, পুলিশ অবৈধভাবে টোল উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় ওই ঘটনার তিনদিন না যেতেই চক্রটি আবারো সড়কে চাঁদাবাজি শুরু করেছে। দুস্থ শ্রমিকদের সহায়তার নামে তারা চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের কারণে আবারো ওই মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, এবার কোনো প্রকার দুর্ঘটনা হলে পুলিশ প্রশাসনকে এর দায়ভার বহন করতে হবে। এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোনো প্রকার অনুমোদন ছাড়াই ওই চক্র রাত দিন চাঁদাবাজিতে লিপ্ত রয়েছে। সূত্র জানায়, চাঁদাবাজ চক্রের প্রধান উজ্জ্বল ও বাদশা প্রচার করেন জেলা প্রশাসকের অনুমতিপত্র নিয়ে তারা দুস্থ শ্রমিকদের জন্য ট্রাক ও পিকআপ চালকদের কাছ থেকে টাকা উত্তোলন করে। তবে তাদের এ জাতীয় কোনো অনুমোদ দেয়া হয়নি বলে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের প্রশাসনিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। অভিযোগ উঠেছে, সড়কে টহলরত পুলিশকে ম্যানেজ করে ওই চক্র অবৈধভাবে চাঁদাবাজিতে লিপ্ত রয়েছে। এ কর্মকাণ্ড বন্ধে এলাকাবাসী প্রশাসনের ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন, বিষয়টি নিয়ে যশোরের সহকারী পুলিশ সুপার (ক-সার্কেল) ভাস্কর সাহা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে তিনিও শুনেছেন। শীঘ্রই চাঁদাবাজ চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কোন মন্তব্য নেই:

যে কোন প্রকার নিউজ, মতামত, অভিযোগ পাঠাতে পারেন আমাদের কাছে। যেগাযোগ : ০১৭১৯৯২০৯৮০, ০১৯১৮২৯৪২২৯। ইমেল: jc.com80@gmail.com
আমার মত যারা ইংরেজীতে দূর্বল তাদের জন্য আজ আমি একটা পদ্ধতি এনেছি -যা দিয়ে খুব সহজে ইংরেজী থেকে বাংলায় অনুবাদ করা যাবে।
১. এখানে ক্লিক করুন।