
এক আবহাওয়াবিদ দুপুরে জানান, শুক্রবারের মধ্যে মৌসুমী বায়ুর প্রভাব
দুর্বল হয়ে বৃষ্টি কমে যাবে। বৃহস্পতিবার প্রায় সারাদেশেই বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
একই সঙ্গে সমুদ্রবন্দরগুলোতে বুধবার জারি করা ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত
বৃহস্পতিবারও বহাল রাখা হয়েছে এ ছাড়া যশোর অঞ্চলের অভ্যন্তরীণ
নদীবন্দরগুলোকে দুই নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বৃষ্টির ফলে বিপাকে পড়েছেন অফিসগামী মানুষ, জনজীবনে দুর্ভোগ আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে রিকশা, সিএনজি অটোরিকশা চালকরা যাত্রীদের কাছে অতিরিক্ত ভাড়া হাঁকাচ্ছেন।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বৃষ্টির ফলে বিপাকে পড়েছেন অফিসগামী মানুষ, জনজীবনে দুর্ভোগ আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে রিকশা, সিএনজি অটোরিকশা চালকরা যাত্রীদের কাছে অতিরিক্ত ভাড়া হাঁকাচ্ছেন।
শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হাঁটুসমান পানির নীচে যশোরের
বিভিন্ন এলাকায়। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে বের হয়নি। কোনো
কোনো এলাকায় নর্দমা উপচে পানি উঠে যায় রাস্তার উপর।
নাগরিকদের এই অসুবিধা নিরসনে যশোর পৌরকর্তৃপক্ষের নেই তেমন কোনো উদ্যোগ,
সেকারণে বছরের পর একই ভোগান্তির মাঝে পড়তে হচ্ছে – বলছেন ভুক্তভোগীরা।
ষষ্টিতলা এলাকার বাসিন্দা সুকান্তর বাড়িতে হাঁটুপানি। তিনি বলেন,
‘নিয়মিত ড্রেন পরিষ্কার না করায় বৃষ্টির পানি অপসারিত হয়নি। সে কারণে
আমাদের এই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।’
একই এলাকার সুফিয়া বেগম বলেন, ‘রান্নাঘরের চুলার মধ্যেও পানি ঢুকে গেছে।
ফলে রান্নাবান্না বন্ধ হয়ে গেছে। ‘বাড়ির উঠান থেকে শুরু করে সব জায়গায়
পানি। বাচ্চাকাচ্চা বাড়ি থেকে বেরুতে পারছে না। বড় সমস্যায় আছি। কখন
দুর্ঘটনা ঘটে যায় বলা যায় না।’
অপরিকল্পিত ড্রেনেজ সিস্টেমের ফলে পানি নিষ্কাষণের সমস্যা, ভৈরব ও
মুক্তেশ্বরী নদী বেদখল ও সংস্কার না হওয়া জলাবদ্ধতার প্রধান কারণ বলে দাবি
করছেন নাগরিক আন্দোলনের নেতারা।
ভৈরব নদ সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম নেতা জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি
ইকবাল কবির জাহিদ বলেন, ‘এডিবির অর্থায়নে যেসব ড্রেন তৈরি হয়েছে যশোর
শহরে-তা যে কোনো কাজেই আসছে না তা প্রমাণিত। কেননা সামান্য বৃষ্টিতেই শহরের
অধিকাংশ এলাকা পানিতে সয়লাব হয়ে যাচ্ছে।’
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন