মিজানুর রহমান চুড়ামনকাটি (যশোর) থেকে ঃ এবারের ঈদ যশোর সদর উপজেলার সবজি চাষের জন্য বিখ্যাত চুড়ামনকাটি,হৈবতপুর ও কাশিমপুর ইউনিয়নের সবজি চাষীদের গলার কাটা হয়ে দাড়িয়েছে। টানা দু’ দফায় কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে এখানকার সবজি চাষীদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ইতিমধ্যে দিনের পর দিন ক্ষেতে পানি জমে থাকায় বেগুন,কাঁচা মরিচ, সিম, পুইশাক, মূলা, পটল,শশার দেখা দিয়েছে পচন। কৃষকদের বক্তব্য বর্ষা আরো কয়েকদিন থাকলে এ বছর এখানকার কৃষকদের প্রায় ২ কোটি টাকা লোকসান হবে। সরেজমিন এলাকার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে বৃষ্টির সাথে মাঝে মধ্যে রৌদ্র হওয়াই সবজি ক্ষেতের বেশি ক্ষতি হচ্ছে।
এ বছর আবহাওয়া সবজি চাষের অনুকুলে থাকায় চুড়ামনকাটি, কাশিমপুর, ও হৈবতপুর ইউনিয়নের মাঠের পর মাঠ বিভিন্ন সবজি চাষ করে কৃষকরা। রমজান মাসে সবজির দাম ভাল থাকায় কৃষকরা এ বছর দ্বিগুন লাভের আশায় বুক বাধে। যার অনেকটা সত্য রূপ দেখা মেলে শুরুতে ভাল ফলনও দাম দেখে। রমজানের শুরুতে এলাকার বহু কৃষক চড়া মূল্যে সবজি বিত্রি“ শুরু করে। কিন্তু হঠাৎ করে দেখা দেয় টানা বৃষ্টি। যাতে করে কৃষকরা তাদের আবাদকৃত সবজি নিয়ে পড়ে বিপাকে। বৃষ্টির কারনে দেরিতে রোপনকৃত সবজির মালিকরা এখনো কোন সবজিই বিত্রি“ করতে পারিনি। সাধারনত ঈদের সময় এখানকার সবজি চাষীরা সবজি বিত্রি“ করে ঈদে ছেলে মেয়েদের জন্য কেনাকাটা করে থাকে। তারা স্বপ্ন দেখতে থাকে ফসল বিত্রি“র কিন্তু তাদের সেই স্বপ্ন পুরনে বাধা সাধলে বৃষ্টি। রোববার সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের বাগডাঙ্গা, দোগাছিয়া, আব্দুলপুর, সাজিয়ালী, কমলাপুর হৈবতপুরের শাহাবাজপুর,তীরেরহাট, মানিকদিহি, মথুরাপুর, সমসপুর, মিরালাউখালী, কাশিমপুরের দৌলতদিহি, খোজারহাটসহ ৩ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের শত শত বিঘা কৃষকদের বিভিন্ন সবজির ক্ষেতে পানি জমে রয়েছে। মাঠের যে দিকে চোখ যায় শুধু পানি আর পানি। কৃষকদের দাবি এ বছর এখনো বাজারে মূলার দেখা মেলেনি। কারণ দু’দফার বৃষ্টিতে কয়েক হাজার মূলা মরে গেছে। যা নতুন করে কৃষকদের আবাদ করতে কয়েক লক্ষ টাকার লোকসান হবে। দোগাছিয়া গ্রামের ইউনুচ আলী, তরিকুল ইসলাম ও মশিযার সহ বহু কৃষকের পটল ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে। তাদের দাবি বৃষ্টি থামলেও এখন আর ক্ষেতের পটল বাঁচানো সম্ভব নয়। ক্ষেতে ইতিমধ্যে পচন দেখা দিয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হবে একটু নিচু জমিতে সবজি চাষীর। শাহাবাজপুর গ্রামের বেগুন ইকবাল হোসেন জানান, তার ১০ কাটা বেগুন কেবল মাত্র ধরা শুরু করেছে। যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে তাতে তার বেগুন গাছ মারা যেতে পারে। ক্ষেতে পানি জমে থাকায় বছর এখানকার কৃষকদের ২ কোটি টাকার সবজি নষ্ট হবে বলে কৃষকরা জানান। হৈবতপুর গ্রামের সবজি চাষী সাত্তার জানান বৃষ্টির পর যদি ক্ষেতে পানি জমে থাকে তাহলে কিছুদিন পর সব সবজিতে পচন ধরে মারা যায়। তার মতে এ বছর বৃস্টির যে অবস্থতা তাতে করে কৃষকদের এ বছর ব্যাপক লোকসানের শিকার হতে হবে। বিজয় নগর গ্রামের মূলা চাষী রফিকুল ইসলাম জানান, তার এক বিঘা মূলা বিত্রি“ করার মত হলেও অতি বৃষ্টির কারনে পচন দেখা দিয়েছে। তিনি আরো জানান, মূলা দ্রুত পচনশীল হওয়াই বিত্রি“ করা সম্ভব নয়। কৃষকরা জানান,মওসুমের শুরুতে তারা বিভিন্ন মহাজনের নিকট থেকে তেল সার বাকিতে ত্র“য় করে আবাদ করে থাকেন। পরে ফসল বিত্রি“ করে তারা মহাজনদের দেনা পরিশোধ করে থাকেন। কিন্তু এবছর তারা মহাজনদের দেনা পরিশোধ নিয়ে রয়েছে মহাচিন্তায়। দৌলতদিহি গ্রামের একজন সবজি চাষী জানান, প্রতি বছর ঈদের আগে সবজি বিত্রি“ করে ছেলে মেয়েদের ঈদের কেনাকাটা করে থাকি। কিন্তু এ বছর বৃষ্টির কারনে আর কেনাকাটা সম্ভব নয়। তার মতে, এবারের ঈদ সবজি চাষীদের গলার কাটার মত। একাধিক কৃষক জানান, বিভিন্ন এনজিও ও মহাজনদের দেনা দায় অনেকের বাড়ি ছাড়তে হবে। শুধু সবজি নয় ভারী বর্ষনের কারনে নিচু এলকার আমন চাষীরাও পড়েছে বিপাকে। আমন রোপনের ক্ষেতে এখনো যে পরিমান পানি জমে আছে তাতে আদৌ সময় মত ধান চাষ সম্ভব নয়।
এ ব্যাপারে কৃষিবীদ ইউসুফ আলী জানান, এ বছর বৃষ্টির যে ধরন তাতে করে এখানকার সবজি চাষীদের ব্যাপক লোকসানের শিকার হতে হবে। তার মতে, বর্তমান সময়ে মাঠে যেসব সবজি রয়েছে তার অধিকাংশই ক্ষেতে পানি জমে থাকলে গোড়া পচে মারা যাবার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে। তিনি আরও বলেন পানি জমে থাকা অবস্থায় যদি রোদ্র ও অত্যাধিক গরম পড়ে তাহলে বেচে থাকা অধিকাংশ সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাবে।
এ বছর আবহাওয়া সবজি চাষের অনুকুলে থাকায় চুড়ামনকাটি, কাশিমপুর, ও হৈবতপুর ইউনিয়নের মাঠের পর মাঠ বিভিন্ন সবজি চাষ করে কৃষকরা। রমজান মাসে সবজির দাম ভাল থাকায় কৃষকরা এ বছর দ্বিগুন লাভের আশায় বুক বাধে। যার অনেকটা সত্য রূপ দেখা মেলে শুরুতে ভাল ফলনও দাম দেখে। রমজানের শুরুতে এলাকার বহু কৃষক চড়া মূল্যে সবজি বিত্রি“ শুরু করে। কিন্তু হঠাৎ করে দেখা দেয় টানা বৃষ্টি। যাতে করে কৃষকরা তাদের আবাদকৃত সবজি নিয়ে পড়ে বিপাকে। বৃষ্টির কারনে দেরিতে রোপনকৃত সবজির মালিকরা এখনো কোন সবজিই বিত্রি“ করতে পারিনি। সাধারনত ঈদের সময় এখানকার সবজি চাষীরা সবজি বিত্রি“ করে ঈদে ছেলে মেয়েদের জন্য কেনাকাটা করে থাকে। তারা স্বপ্ন দেখতে থাকে ফসল বিত্রি“র কিন্তু তাদের সেই স্বপ্ন পুরনে বাধা সাধলে বৃষ্টি। রোববার সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের বাগডাঙ্গা, দোগাছিয়া, আব্দুলপুর, সাজিয়ালী, কমলাপুর হৈবতপুরের শাহাবাজপুর,তীরেরহাট, মানিকদিহি, মথুরাপুর, সমসপুর, মিরালাউখালী, কাশিমপুরের দৌলতদিহি, খোজারহাটসহ ৩ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের শত শত বিঘা কৃষকদের বিভিন্ন সবজির ক্ষেতে পানি জমে রয়েছে। মাঠের যে দিকে চোখ যায় শুধু পানি আর পানি। কৃষকদের দাবি এ বছর এখনো বাজারে মূলার দেখা মেলেনি। কারণ দু’দফার বৃষ্টিতে কয়েক হাজার মূলা মরে গেছে। যা নতুন করে কৃষকদের আবাদ করতে কয়েক লক্ষ টাকার লোকসান হবে। দোগাছিয়া গ্রামের ইউনুচ আলী, তরিকুল ইসলাম ও মশিযার সহ বহু কৃষকের পটল ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে। তাদের দাবি বৃষ্টি থামলেও এখন আর ক্ষেতের পটল বাঁচানো সম্ভব নয়। ক্ষেতে ইতিমধ্যে পচন দেখা দিয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হবে একটু নিচু জমিতে সবজি চাষীর। শাহাবাজপুর গ্রামের বেগুন ইকবাল হোসেন জানান, তার ১০ কাটা বেগুন কেবল মাত্র ধরা শুরু করেছে। যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে তাতে তার বেগুন গাছ মারা যেতে পারে। ক্ষেতে পানি জমে থাকায় বছর এখানকার কৃষকদের ২ কোটি টাকার সবজি নষ্ট হবে বলে কৃষকরা জানান। হৈবতপুর গ্রামের সবজি চাষী সাত্তার জানান বৃষ্টির পর যদি ক্ষেতে পানি জমে থাকে তাহলে কিছুদিন পর সব সবজিতে পচন ধরে মারা যায়। তার মতে এ বছর বৃস্টির যে অবস্থতা তাতে করে কৃষকদের এ বছর ব্যাপক লোকসানের শিকার হতে হবে। বিজয় নগর গ্রামের মূলা চাষী রফিকুল ইসলাম জানান, তার এক বিঘা মূলা বিত্রি“ করার মত হলেও অতি বৃষ্টির কারনে পচন দেখা দিয়েছে। তিনি আরো জানান, মূলা দ্রুত পচনশীল হওয়াই বিত্রি“ করা সম্ভব নয়। কৃষকরা জানান,মওসুমের শুরুতে তারা বিভিন্ন মহাজনের নিকট থেকে তেল সার বাকিতে ত্র“য় করে আবাদ করে থাকেন। পরে ফসল বিত্রি“ করে তারা মহাজনদের দেনা পরিশোধ করে থাকেন। কিন্তু এবছর তারা মহাজনদের দেনা পরিশোধ নিয়ে রয়েছে মহাচিন্তায়। দৌলতদিহি গ্রামের একজন সবজি চাষী জানান, প্রতি বছর ঈদের আগে সবজি বিত্রি“ করে ছেলে মেয়েদের ঈদের কেনাকাটা করে থাকি। কিন্তু এ বছর বৃষ্টির কারনে আর কেনাকাটা সম্ভব নয়। তার মতে, এবারের ঈদ সবজি চাষীদের গলার কাটার মত। একাধিক কৃষক জানান, বিভিন্ন এনজিও ও মহাজনদের দেনা দায় অনেকের বাড়ি ছাড়তে হবে। শুধু সবজি নয় ভারী বর্ষনের কারনে নিচু এলকার আমন চাষীরাও পড়েছে বিপাকে। আমন রোপনের ক্ষেতে এখনো যে পরিমান পানি জমে আছে তাতে আদৌ সময় মত ধান চাষ সম্ভব নয়।
এ ব্যাপারে কৃষিবীদ ইউসুফ আলী জানান, এ বছর বৃষ্টির যে ধরন তাতে করে এখানকার সবজি চাষীদের ব্যাপক লোকসানের শিকার হতে হবে। তার মতে, বর্তমান সময়ে মাঠে যেসব সবজি রয়েছে তার অধিকাংশই ক্ষেতে পানি জমে থাকলে গোড়া পচে মারা যাবার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে। তিনি আরও বলেন পানি জমে থাকা অবস্থায় যদি রোদ্র ও অত্যাধিক গরম পড়ে তাহলে বেচে থাকা অধিকাংশ সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন