জাহানারা কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার আমাদের আছে- • কম্পিউটার প্রশিক্ষন • কম্পিউটার কম্পোজ • কম্পিউটার সাভিসিং • ইন্টারনেট • ছবি তোলা • আনলাইন ভারতের ভিসা আবেদন • আনলাইন চাকরির আবেদন • পরিক্ষার ফলাফল • আনলাইনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সহ ভবভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভতির আবেদন • এ ছাড়া সকল প্রকার কম্পিউটারের কাজ করা হয় #

শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

বছর জুড়ে সবজির চড়া মূল্যে দারুন খুশি যশোরের ৩ ইউনিয়নের কৃষকরা ॥ এখনো সবজিতে ঠাসা বাজার

মিজানুর রহমান চুড়ামনকাটি (যশোর) থেকে ঃ বছর জুড়েই শীতকালীন সব সবজির চড়া মূল্য পেয়ে দারুন খুশি চুড়ামনকাটি, কাশিমপুর ও হৈবতপুরের সবজি চাষীরা। প্রতিদিনই যশোরের সবচেয়ে বড় সবজি বাজার বারীনগর কাঁচা বাজারে বিভিন্ন শীতকালীন সবজিতে ঠাসা থাকতে দেখা গেছে। অনেক সময় বাজারের ভিতরে স্থান না পেয়ে অনেকে রাস্তার উপর দাড়িয়ে তাদের সবজি বিত্রিু করেছেন। বাজারের যে দিকে চোখ গেছে সে দিকে নানান শীতকালীন সবজিতে ভরা ছিল।
কৃষকরা জানান বর্তমানের বাজার দর আরো কিছুদিন থাকলে তারা ব্যাপক লাভবান হবেন।
 বিগত বছরের তুলনায় এ বছর যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি, হৈবতপুর ও কাশিমপুর ইউনিয়নের সবজি চাষীরা দ্বিগুন শীতকালীন সবজি চাষ করেছিল। বর্ষা মওসুমে অনেক চাষীর সবজি নষ্ট হওয়াই মাথায় লোকসানের বোঝা নিয়েই তারা শীতকালীন সবজি চাষ করে। বছরের শুরুতেই শীতকালীন সবজিতে কৃষকরা দাম পায় অনেকটা চড়া। কৃষকদের ধারনা মতে ভরা মওসুমে বিগত বছর গুলোতে এমন চড়াও মূল্য তারা পায়নি। এ বছর সবজির চড়া মূল্যে তারা অনেক লাভবান হবেন বলে আশাবাদী। সরেজমিনে যশোরের সবচেয়ে বড় কাঁচা বাজার বারী নগর বাজারে গিয়ে দেখা যায়,বিগত বছরের তুলনায় এ বছর জুড়েই ছিল বাজারে শীতকালীন বিভিন্ন সবজি অনেক বেশি। সবজি বেশি হলেও দাম বিগত বছরের তুলনায় অনেকটা চড়াও দেখা যায়। তবে কৃষকদের অভিযোগ এখান থেকে সবজি কিনে পাইকারী ব্যাপারিসহ খুচরা ব্যবসায়ীরা সেটি আবার দ্বিগুন মূল্যে বিত্রিু করে থাকে।  তাদের মতে, বাজার ব্যবস্থা ভালো হলে তারা আরো লাভবান হবেন। তবে পাইকারী ব্যবসায়ীরা জানান,আগে যে টাকায় পরিবহন পাওয়া যেত সেটি এখন এই প্রায় দ্বিগুন হয়ে গেছে। যেকারনে ব্যবসায়ীদের লাভ অনেকটা কম হচ্ছে। গোটা বছর জুড়ে সবজির এমন দামে দারুন খুশি কৃষকরা। কাশিমপুর ইউনিয়নের বিজয় নগর গ্রামের রফিকুল ইসলাম জানান, তিনি এ বছর  পাতা কপি বাজারে বিত্রিুর জন্য বাজারে এনে তিনি প্রতি পিচ ১৪ টাকা দরে বিত্রিু করেছেন। যা বিগত বছরের তুলনায় দ্বিগুন বেশি বলে তিনি জানান। হৈবতপুর গ্রামের ফুল কপি চাষী সাত্তার জানান, এ বছর সবজি চাষীদের জন্য খুবই ভাল।  তার মতে, বাজার ব্যবস্থা এমন থাকলে বিগত বর্ষা মওসুমের ক্ষতি অনেকটা পুষিয়ে নিতে পারবেন কৃষকরা। গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে সবজি চাষীদের সকলের মুখে হাসি। চুড়ামনকাটি, কাশিমপুর ও হৈবতপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, এখনো মাঠের পর মাঠ এখনো বিভিন্ন সব বাহারী সবজিতে ভরা। তবে শেষ পর্যন্ত বাজারের ন্যায্য মূল্য নিয়ে আশংকায় কৃষকরা। হৈবতপুর গ্রামের  সবজি চাষী, ছাত্তার, গাফ্ফার, শহিদুল ইসলাম, আয়ুব আলী সহ  প্রায় অর্ধ শতাধিক কৃষকের বিভিন্ন প্রকারের সবজি এখনো রয়েছে। যা দ্রুত বিত্রিু করবেন বলে তারা জানান। দাম চড়াও থাকায় অনেকে সবজি বিত্রিুর পর আবারো শুরু করেছে সবজি চাষ। কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চুড়ামনকাটি, হৈবতপুর ও কাশিমপুর ইউনিয়নের আবাদি জমির বেশির ভাগ জমিতেই সবজি চাষ করে থাকে কৃষকরা। এই ৩ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের মাঠের পর মাঠ এখনো বিভিন্ন সবজিতে এখনো ঠাসা রয়েছে। যশোর সদরের দোগাছিয়া গ্রামের বেগুন চাষী আকরাম হোসেন, জানান এ বছর বেগুনের বাম্পার ফলন হয়েছে। শুরুতে দাম ও পেয়ে ছিলাম ভাল। বর্তমানের বাজার দাম থাকলে তার মতে, তিনি ব্যাপক লাভবান হবেন।
এলাকার সবজি চাষিরা জানান,সরকার যদি এখানে একটি সবজি সংরক্ষনের জন্য হিমাগার তৈরি করে দেয় তাহলে তারা আরো লাভবান হবেন।  তাদের মতে, তারা বাজার ব্যবস্থা দেখে সবজি বাজারের বিত্রিু করতে পারতো। কৃষিবীদ ইউসুফ আলী জানান, যেহেতু বেগুন, সিম, কপিসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজি সময়মত ক্ষেত থেকে না তুলতে পারেলে সেটি নষ্ট হয়ে যায়। তাই কৃষকদের সবজি সংরক্ষনের জন্য এখানে একটি হিমাগারের প্রয়োজন। তাহলে প্রতি বছর কৃষকদের আর লোকসান গুনতে হবে না।

কোন মন্তব্য নেই:

যে কোন প্রকার নিউজ, মতামত, অভিযোগ পাঠাতে পারেন আমাদের কাছে। যেগাযোগ : ০১৭১৯৯২০৯৮০, ০১৯১৮২৯৪২২৯। ইমেল: jc.com80@gmail.com
আমার মত যারা ইংরেজীতে দূর্বল তাদের জন্য আজ আমি একটা পদ্ধতি এনেছি -যা দিয়ে খুব সহজে ইংরেজী থেকে বাংলায় অনুবাদ করা যাবে।
১. এখানে ক্লিক করুন।