
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আমিনুর রহমান ৮ ভাই বোনের মধ্যে সকলের ছোট। লেখাপড়ার জীবনে সে সব ক্লাসেই প্রথম হত। বাবা জয়নাল ছিলেন একজন ক্ষুদ্র ছাগল ব্যাপারী। ছেলের লেখাপড়ার খরচ যোগানে ছিল তার জন্য কষ্টকর। এরপর ও ছেলের অদম্য ইচ্ছার কারনে চলতে থাকে তার লেখাপড়া। স্থানীয় চুড়ামনকাটি মাধ্যামিক বিদ্যালয় থেকে ২০০৬ এস এস সি পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করে গোলন্ডে জিপি এ ৫ পেয়েয়ে সবাইকে অবাককরে দেয়। এর পর ২০০৮ সালে এইচ এস সি পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করে আবারো গোলন্ডে জিপিএ ৫ পায় সে।তার ইচ্ছা ছিল লেখাপড়া শিকে পিতামাতার কষ্ট দুর করবে। এর মাঝে তার পিতা মারা যায়। তখন ভাইবোনদের সহযোগীতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিস এন্ড কনফ্লিট স্ট্যাডিস বিভাগে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে থাকে। সেখানেও তার ফলাফলে সবাইকে অবাক করে। আমিনুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যরা স্বপ্ন দেখতে থাকে সে চাকুরি করে নিজের পরিবারের জন্য ও দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে নিজেকে উৎসর্গ করবেন। কিন্তু তার সে ইচ্ছা কেড়ে নিল ঘাতক নসিমন।
এদিকে, নিহত আমিনুর রহমানের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়,তার মা ছেলের শোকে পাগল প্রায়। সবার ছোট ভাইকে হারিয়ে অন্য ভাই বোনেরা নির্বাক হয়ে পড়েছে। তার এক ভাই জানায়, আমিনুরের চাহিদা মোতাবেক টাকা দিতে না পারলেও সে সব সময় আমাদের বলতো ভাই আমি একজন বড় অফিসার হয়ে তোমাদের দেখবে। তোমরা আর অল্প কিছুদিন কষ্ট কর। এমন কথা বলতে বলতে সে কাঁন্নায় ভেঙ্গে পড়েন। একজন মেধাবী শিক্ষার্থীর অকাল মৃত্যুতে কেউ চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন