জাহানারা কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার আমাদের আছে- • কম্পিউটার প্রশিক্ষন • কম্পিউটার কম্পোজ • কম্পিউটার সাভিসিং • ইন্টারনেট • ছবি তোলা • আনলাইন ভারতের ভিসা আবেদন • আনলাইন চাকরির আবেদন • পরিক্ষার ফলাফল • আনলাইনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সহ ভবভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভতির আবেদন • এ ছাড়া সকল প্রকার কম্পিউটারের কাজ করা হয় #

শনিবার, ৪ জুলাই, ২০১৫

বিসিএস অফিসার হওয়া হল না দুর্ঘটনায় নিহত ঢাবির মেধাবী শিক্ষার্থী আমিনুরের

মিজানুর রহমান চুড়ামনকাটি (যশোর) থেকে ॥ আর কখনো ছেলের মুখে মা ডাক শুনতে পারবেনা এমন কথা ভাবতেই বারবার কাঁন্নায় ভেঙ্গে পড়ের মেধাবী শিক্ষার্থী আমিনুর রহমানের বৃদ্ধ মা। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটি শেষে ফিরবেনা বাড়িতে। বাড়িতে এসে ছোট ছোট ভাইপো ভাইজিদের নিয়ে আর আড্ডায় মত্ত হবে না সে। তার প্রবল ইচ্ছা ছিল দারিদ্রতার মাঝেও সেটিকে জয় করে সর্বচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশের মানুষের জন্য কাজ করা। তার সেই অদম্য ইচ্ছার নিকট হারমানে দারিদ্রতা। একের পর এক ফলাফলে সবাইকে তাকলাগিয়েছিলো সে। ইতিমধ্যে সে ৩৬তম বিসিএস পরির্ক্ষায় আবেদন ও করেছে বলে জানা গেছে। তার এসব এখন শুধুই সৃতি হয়ে রবে তার পরিবার ও আপনজনের নিকট।
শনিবার সকাল সে তার বোনের বাড়ির উদ্দ্যেশে রওনা হয় বলে জানা যায়। এর পর তার পরিবারের সদস্যরা জানতে পারে ১১টার দিকে কালীগঞ্জ পৌরসভার শিবনগর গুলশানমোড় এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনাই আমিনুর মার গেছে। এমন খবরে যেন আকাশের চাঁদ ভেঙ্গে পড়ে তাদের মাথার উপর। নিমিশেষেই সবই লন্ডভন্ড হয়ে যায়। তার রেখে যাওয়া এখন সবই সৃতি আপনজনদের নিকট। এদিকে,মেধাবী শিক্ষার্থীর অকাল মৃত্যুতে পরিবারসহ গোটা এলাকাজুড়ে চলছে শোকের মাতাম। নিহত আমিনুর যশোরের সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি বাগডাঙ্গা গ্রামের জয়নাল ব্যাপারীর ছেলে ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিস এন্ড কনফ্লিট স্ট্যাডিস এর মাষ্টার্সের শেষ বর্ষের ছাত্র।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আমিনুর রহমান ৮ ভাই বোনের মধ্যে সকলের ছোট। লেখাপড়ার জীবনে সে সব ক্লাসেই প্রথম হত। বাবা জয়নাল ছিলেন একজন ক্ষুদ্র ছাগল ব্যাপারী। ছেলের লেখাপড়ার খরচ যোগানে ছিল তার জন্য কষ্টকর। এরপর ও ছেলের অদম্য ইচ্ছার কারনে চলতে থাকে তার লেখাপড়া। স্থানীয় চুড়ামনকাটি মাধ্যামিক বিদ্যালয় থেকে ২০০৬ এস এস সি পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করে গোলন্ডে জিপি এ ৫ পেয়েয়ে সবাইকে অবাককরে দেয়। এর পর ২০০৮ সালে এইচ এস সি পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করে আবারো গোলন্ডে জিপিএ ৫ পায় সে।তার ইচ্ছা ছিল লেখাপড়া শিকে পিতামাতার কষ্ট দুর করবে। এর মাঝে তার পিতা মারা যায়। তখন ভাইবোনদের সহযোগীতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিস এন্ড কনফ্লিট স্ট্যাডিস বিভাগে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে থাকে। সেখানেও তার ফলাফলে সবাইকে অবাক করে। আমিনুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যরা স্বপ্ন দেখতে থাকে সে চাকুরি করে নিজের পরিবারের জন্য ও দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে নিজেকে উৎসর্গ করবেন। কিন্তু তার সে ইচ্ছা কেড়ে নিল ঘাতক নসিমন।
এদিকে, নিহত আমিনুর রহমানের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়,তার মা ছেলের শোকে পাগল প্রায়। সবার ছোট ভাইকে হারিয়ে অন্য ভাই বোনেরা নির্বাক হয়ে পড়েছে। তার এক ভাই জানায়, আমিনুরের চাহিদা মোতাবেক টাকা দিতে না পারলেও সে সব সময় আমাদের বলতো ভাই আমি একজন বড় অফিসার হয়ে তোমাদের দেখবে। তোমরা আর অল্প কিছুদিন কষ্ট কর। এমন কথা বলতে বলতে সে কাঁন্নায় ভেঙ্গে পড়েন। একজন মেধাবী শিক্ষার্থীর অকাল মৃত্যুতে কেউ চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি।

কোন মন্তব্য নেই:

যে কোন প্রকার নিউজ, মতামত, অভিযোগ পাঠাতে পারেন আমাদের কাছে। যেগাযোগ : ০১৭১৯৯২০৯৮০, ০১৯১৮২৯৪২২৯। ইমেল: jc.com80@gmail.com
আমার মত যারা ইংরেজীতে দূর্বল তাদের জন্য আজ আমি একটা পদ্ধতি এনেছি -যা দিয়ে খুব সহজে ইংরেজী থেকে বাংলায় অনুবাদ করা যাবে।
১. এখানে ক্লিক করুন।