জাহানারা কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার আমাদের আছে- • কম্পিউটার প্রশিক্ষন • কম্পিউটার কম্পোজ • কম্পিউটার সাভিসিং • ইন্টারনেট • ছবি তোলা • আনলাইন ভারতের ভিসা আবেদন • আনলাইন চাকরির আবেদন • পরিক্ষার ফলাফল • আনলাইনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সহ ভবভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভতির আবেদন • এ ছাড়া সকল প্রকার কম্পিউটারের কাজ করা হয় #

শনিবার, ২৩ জুলাই, ২০১৬

মাদক বন্ধে প্রশাসনের কঠোর নজরদারির পরও

যশোরে বন্ধ হচ্ছে না মাদক ব্যবসা
============================================
মিজানুর রহমান, চুড়ামনকাটি (যশোর ) থেকে ॥ মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, র‌্যাব, পুলিশ, বিজিবিসহ আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর অব্যাহত অভিযান, মোবাইল কোটের সাজা প্রদান ও একের পর এক মামলা করেও রোধ করা যাচ্ছে না সর্বনাশা ভয়ানক মাদকের বিস্তার। কৌশল পরিবর্তন করে যশোরের মাদক ব্যবসায়ীরা একের পর এক আমদানি করছে বিভিন্ন মাদকদ্রব্য। দিনে দিনে বাড়ছে সেবনকারী ও ব্যবসায়ী। অভিভাবক মহল শংকিত তাদের সন্তানদের নিয়ে। 
যশোর জেলাটি ভারতের সীমান্তে অবস্থিত হওয়াই সীমান্তবর্তী এলাকার অধিকাংশ মানুষ সরাসরি মাদক ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়ে। শুধু ব্যবসা নয় তারা মাদকাসক্ত ও হয়ে পড়ে। আসক্তের মধ্যে ৮৭ ভাগ পুরুষ ও ১৩ ভাগ নারী রয়েছে বলে জানা যায়। জেলা শহর থেকে শুরু করে গ্রামে প্রভাবশালী ব্যক্তি, নারী ও শিশু কিশোররাও জড়িত রয়েছে এ ব্যবসায়। সূত্রে জানা যায়, সীমান্তের একাধিক স্পট মাদক আনা নেওয়ার কাজে ব্যবহার করে চোরাচালানীরা। এসব স্পটে বিজিবি সদস্যদের বিশেষ নজরদারির মধ্যেও মাদক ব্যকসায়ীরা আনছে মরন নেশা ইয়াবা, হেরোইন, আফিম, প্যাথেডিন, ফেন্সিডিল, গাঁজাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক। সুত্র জানায়, মাদক আমদানির জন্য প্রতি বছর পাচার হয়ে যাচ্ছে কোটি কোটি টাকা। 
গোটা যশোর জেলা জুড়ে আইনশৃংখলা রক্ষায় নিয়োজিত সংস্থাগুলোর সদস্যরা নিয়মিত মাদকবিরোধী অফিযান চালিয়ে থাকেন। প্রায়ই আটক করা হয় বিপুল পরিমান মাদক দ্রব্য। গ্রেফতার করা হয় ব্যবসায়ী ও পাচারকারী। সম্প্রতি যশোর জেলা জুড়ে চলছে পুলিশের বিশেষ অভিযান। যে অভিযানে প্রতিদিনই আটক হচ্ছে ইয়াবা, ফেন্সিডিল ও গাঁজা । এ সময় অস্ত্রসহ একাধিক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়েছে। প্রতিদিনই মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিচ্ছে ভ্রাম্যমান আদালত। আসামীদের কাছ থেকে উদ্ধার হচ্ছে, মদ, হেরোইন, ফেন্সিডিল, গাঁজা, ইয়াবা ইত্যাদি। কিন্তু এত ছিুর পরও মাদকের বিস্তার রোধ করা যাচ্ছে না কোন ভাবেই। গোয়েন্দা পুলিশের দাবি ভ্রম্যমান আদালতের মাধ্যমে তাৎক্ষনিক সাজা দেওয়ায় মাদক ব্যবসা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। তারা আরো জানান, মাদকদ্রব্য গুলোর মধ্যে ইয়াবা ট্যাবলেট আসে কক্সবাজার চট্রগ্রাম রুট হয়ে। সুত্র জানায়, দেশের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের সিমান্ত পথ গুলো দিয়েই বেশি পাচার হয় ফেন্সিডিল। এসব সীমান্তের মধ্যে রয়েছে বর্ণি, সাহাজাদপুর, হিজলী, আন্দুলিয়া, মাশিলা, পাচতিরতলা, বেনাপোল, দৌলতপুর, পুটখালী, অগ্রভুলট, রঘুনাথপুর, ঘিবা, ধান্যখোলা, শিকারপুর, পাকশি, গয়রা ও ভোমরা উলে¬খযোগ্য। ইত্যাদি। সূত্র জানায়, বর্তমান যশোরের মাদক সেবীরা যে সব মাদক সেবন করে থাকে তার মধ্যে রয়েছে ইয়াবা, হেরোইন, গাঁজা, চোলাই মদ, বিদেশি মদ, বিয়ার, রেক্টিফায়েড স্পিরিট, কেডিন, ফেন্সিডিল, প্যাথেডিন, টিডি জেসিক, ভাঙ, কোডিন ট্যাবলেট, ফারমেনটেড, ওয়াশ (জাওয়া), এক্সএলমুগের, মরফিন, আইসপিল, ভায়াগ্রা, সেনাগ্রা, টলুইন, পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট, মিথাইল, ইথানল ও কিটোন ইত্যাদি। এছাড়া দেশি মদ, তাড়ি, ইনোকটিন, সিডাক্সিন, বিভিন্ন ঘুমের ট্যাবলেট, জামবাকসহ ব্যাথানাশক ঔষুধ গ্রহণ করে কিংবা টিকটিকির লেজ পুড়িয়ে নেশা করে থাকে বলে জানা গেছে। জানা যায়, বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে আটক করা মাদকের বেশির ভাগই ভেজাল মিশ্রিত হিসেবে পাওয়া যায়। একারনে অভিযুক্তদের সাজা নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়ে। সূত্র জানায়, সারাদেশের মধ্যে বর্তমানে যশোর জেলার বেনাপোল ও চৌগাছা হয়ে বেশিরভাগ মাদক পাচার হচ্ছে। সূত্র জানায়, বেনাপোলে ২৫/২৬ সিন্ডিকেট এ ব্যবসা প্রতিনিয়ত চালিয়ে যাচ্ছে। বিজিবি সূত্র জানায়, মাদকের পাশাপাশি পুটখালি সীমান্ত এলাকায় প্রায় স্বর্ণ ধরা পড়ে। 
সচেতন মহলের মতে,যশোরে মাদক বন্ধে প্রশাসন কঠোর হলেও ব্যবসায়ীদের কৌশল পরিবর্তেন ফলে সম্ভব হচ্ছে না। তাদের মতে, সামাজিক সচেতনা ছাড়া যশোরকে মাদক মুক্ত করা সম্ভব হবে না।

কোন মন্তব্য নেই:

যে কোন প্রকার নিউজ, মতামত, অভিযোগ পাঠাতে পারেন আমাদের কাছে। যেগাযোগ : ০১৭১৯৯২০৯৮০, ০১৯১৮২৯৪২২৯। ইমেল: jc.com80@gmail.com
আমার মত যারা ইংরেজীতে দূর্বল তাদের জন্য আজ আমি একটা পদ্ধতি এনেছি -যা দিয়ে খুব সহজে ইংরেজী থেকে বাংলায় অনুবাদ করা যাবে।
১. এখানে ক্লিক করুন।