জাহানারা কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার আমাদের আছে- • কম্পিউটার প্রশিক্ষন • কম্পিউটার কম্পোজ • কম্পিউটার সাভিসিং • ইন্টারনেট • ছবি তোলা • আনলাইন ভারতের ভিসা আবেদন • আনলাইন চাকরির আবেদন • পরিক্ষার ফলাফল • আনলাইনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সহ ভবভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভতির আবেদন • এ ছাড়া সকল প্রকার কম্পিউটারের কাজ করা হয় #

বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই, ২০১৬

কাশিমপুরের শ্যামনগর ও নওদা গ্রামে মেশিন বসিয়ে বালি উত্তোলন করায় চরম বির্পযয়ে পরিবেশ


বালি বিক্রেতা মকবুল ও শরিফুল মেম্বারের নিকট জিম্মি হয়ে পড়েছে সাধারন মানুষ॥ ধ্বসে পড়ছে আবাদি জমি
===============================
মিজানুর রহমান, চুড়ামনকাটি (যশোর) থেকেঃ যশোর সদরের কাশিমপুর ইউনিয়নের শ্যামনগর ও নওদাগ্রাম মকবুল ও শরিফুল মেম্বার পুকুর থেকে স্যালো মেশিন লাগিয়ে বালি উত্তোলন করায় চরম বিপর্যয়ে মুখে পড়েছে পরিবেশ। বালি উত্তোলন অব্যাহত থাকায় ইতিমধ্যে ধ্বসে পড়তে শুরু করেছে পাশের ফসলের আবাদি জমি। বালি উত্তোলনকারী প্রভাবশালী দু’জন মেম্বার হওয়ায় তাদের নিকট জিম্মি হয়ে পড়েছে পুকুর সংলগ্ন জমির মালিকরা। ফলে, এদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ ঘুলতে সাহস পাচ্ছে না। এদিকে গ্রামের ভিতর দিয়ে প্রতিদিন ৩০/৩৫ টি ট্রাক চলাচল করায় রাস্তার ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
হৈবতপুর বাজার থেকে মাত্র ২ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত কাশিমপুর ইউনিয়নের নওদাগ্রাম ও শ্যামনগর গ্রামটি। গ্রাম দু’টির উপর দিয়ে কয়েক গ্রামের হাজার হাজার মানুষের চলা চলের একটি মাত্র রাস্তা দিয়ে। সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বর্তমান বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটি মানুষের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন বালি ও মাটি ভর্তি ট্রাক যেয়ে চাকায় পিষ্ট হয়ে রাস্তাটির বিভিন্ন জায়গাই ভাঙ্গন ও কাঁদার সৃষ্টি হয়েছে। অনেক জায়গায় রাস্তার মাটি ভেঙ্গে পার্শ্বের পুকুরে পড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। কারণ হিসাবে জানা যায়, শ্যামনগর গ্রামের প্রভাবশালী মেম্বার মকবুল ও পার্শ্ববতী নওদাগ্রামের শরিফুল ইসলাম নিজ জমি থেকে র্দীঘদিন যাবত স্যালোমেশিন বসিয়েু বালি উত্তোলন করে আসছে। বালি উত্তোলনের ফলে এ এলাকার মানুষের যাতায়াতের একটি মাত্র রাস্তা যেকোন সময় ধবংসে পড়তে পারে পুকুরের ভিতর। সুত্রে জানায়, বালি উত্তোলন করার পর ঐ স্থানটি ৭০/৮০ ফিট গভীর হওয়ায় পাশ্বের জমি গুলো ভেঙ্গে পড়ার উপত্রুম হয়েছে। ইতিমধ্যে আশেপাশের অনেক জমি ভাগতে শুরু করেছে। বালি উত্তোলনকারী সম্প্রতি বালি উত্তোলনের ঐ পুকুর সংলগ্ন বিভিন্ন আবাদী জমি ১০ থেকে ১৫/২০ ফুট পর্যন্ত পুকুরের মধ্যে ভেঙ্গে পড়তে শুরু করেছে। এতে লক্ষ লক্ষ টাকার জমি ও হাজার হাজার টাকার বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি সাধন হতে চলেছে। এলাকাবাসী বার বার নিষেধ করা সত্বেও বালি উত্তোলন বন্ধ করাতো দূরের কথা উল্টো তাদের কার্যক্রম আরো জোরদার করেছে। একাধিক ব্যক্তি জানান, বালি উত্তেলনকারী দ’ু ব্যক্তি মেম্বার হওয়াই তারা কোন কথা কর্নপাত করছেনা। প্রতিদিন এখান খেকে কয়েকশত ট্রাক বালি বিত্রিু করে থাকে তারা। 
এদিকে অব্যাহত বালি উত্তোলনের ফলে উত্তোলন সংলগ্ন বিভিন্ন ফসলি জমি পুকুরের মধ্যে ভেঙ্গে পড়ার মত হওয়াই ভুক্তভোগীরা প্রতিকার চেয়ে যশোর জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার ভূমি ও অফিসার ইনচার্জ, কোতয়ালী মডেল থানা যশোর বরাবর আবেদনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে। এসব ভুক্তভোগীদের অনেকে জানান বালি উত্তোলন বন্ধ না হলে তাদের বিভিন্ন ফসলী আবাদের জমি গুলো ভেঙ্গে বালি উত্তোলন পুকুরে বিলিন হয়ে যাবে। যার প্রতিবাদ করলে বালি বিক্রেতা মকবুল ও শরিফুল মেম্বার এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের দিয়ে ভয় ভীতি সহ দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে থাকে। তার স্থানীয় ক্ষমতাসীন দের ম্যানেজ করে তাদের ব্যবসা অবাধে চালিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে মকবুল মেম্বার জানান, নিজেদের জমি থেকে বালি উত্তেলন করি কারো ক্ষতি করিনা। অপর বালি বিত্রেুতা শরিফুল মেম্বারের ০১৭১৬৮২১৮৮০ নং মোবাইল নম্বারে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিফ করেনি। নিজের এলাকাবাসী অবিলম্বে বালি বিক্রেতা মকবুল ও শরিফুল মেম্বারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া সহ বালি উত্তোলন বন্ধ করে দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক সহ পুলিশের উর্দ্ধেতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

কোন মন্তব্য নেই:

যে কোন প্রকার নিউজ, মতামত, অভিযোগ পাঠাতে পারেন আমাদের কাছে। যেগাযোগ : ০১৭১৯৯২০৯৮০, ০১৯১৮২৯৪২২৯। ইমেল: jc.com80@gmail.com
আমার মত যারা ইংরেজীতে দূর্বল তাদের জন্য আজ আমি একটা পদ্ধতি এনেছি -যা দিয়ে খুব সহজে ইংরেজী থেকে বাংলায় অনুবাদ করা যাবে।
১. এখানে ক্লিক করুন।