জাহানারা কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার আমাদের আছে- • কম্পিউটার প্রশিক্ষন • কম্পিউটার কম্পোজ • কম্পিউটার সাভিসিং • ইন্টারনেট • ছবি তোলা • আনলাইন ভারতের ভিসা আবেদন • আনলাইন চাকরির আবেদন • পরিক্ষার ফলাফল • আনলাইনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সহ ভবভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভতির আবেদন • এ ছাড়া সকল প্রকার কম্পিউটারের কাজ করা হয় #

বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই, ২০১৬

স্বাধীনতা পরর্বতী চুড়ামনকাটিতে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি হত্যার শিকার, পঙ্গু শতাধিক

একটি হত্যাকান্ডেরও হয়নি সঠিক বিচার
মিজানুর রহমান চুড়ামনকাটি ( যশোর ) থেকে ॥ এক সময় যশোর জেলার ভিতর ভয়ংকর জনপদ ছিল সদরের চুড়ামনকাটি ইউনিয়নটি। এখাকার মানুষগুলো রক্তের নেশায় মেতে থাকতো। স্বাধীনতা পরর্বতী শুধুমাত্র চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হয়েছিল প্রায় অর্ধশতাধিক বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ। পঙ্গু হয়ে বেচেঁ আছে প্রায় শতাধিক ব্যক্তি। একটি হত্যাকান্ডেরও সঠিক বিচার না হওয়াই সে সময় খুনোখুনি বন্ধ হতো না বলে এলাকাবাসীদের অভিমত।

সূত্রে প্রকাশ, যশোর শহর থেকে ৭ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে চুড়ামনকাটি ইউনিয়নটি অবস্থিত। বর্তমানে এখানে সর্ব পেশার প্রায় ৫০ হাজার মানুষের বসবাস রয়েছে। দেশ স্বাধীনের পর থেকে বেশ শান্তিতেই বসবাস করে আসছিলো এখনকার মানুষগুলো। বিগত ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার  ক্ষমতা গ্রহনের পর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম জুড়ে শুরু হয় সন্ত্রাসী কার্যক্রম। বিভিন্ন গ্রামে গঠন হয় বিভিন্ন নামে একাধিক সন্ত্রাসী বাহিনী। মূলত তখন থেকেই শুরু হয় ইউনিয়ন জুড়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড। এ বাহিনীর মধ্যে অন্যতম ছিল,দক্ষিন পশ্চিম অঞ্চলের মুকুটহীন স¤্রাট গোবিলা গ্রামের শরিফুল বাহিনী, সাজিয়ালী গ্রামের আনোয়ারুল বাহিনী,ঝাউদিয়া গ্রামের জহিরুল বাহিনী, কমলাপুর গ্রামের শামসুল বাহিনী, দোগাছিয়া গ্রামের ছলেমান বাহিনী, লতিফ বাহিনী, কমলাপুর গ্রামের মহি বাহিনী উল্লেখ্য যোগ্য। নিজ এলাকায় অধিপত্য ধরে রাখতে এই বাহিনীর সদস্যরা এক সময় জড়িয়ে পড়ে খুনের রাজনীতিতে। আর এদের মদদ দিতে থাকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। ১৯৯১ সালের জানুয়ারীতে জহিরুল বাহিনীর হাতে খুন হয় ঝাউদিয়া গ্রামের আওয়ামীলীগ নেতা শরিফুল ইসলাম। এর পর প্রতিপক্ষকে মারতে মরিয়া হঠে বিভিন্ন বাহিনীর ক্যাডারা। শরিফুলের খুনের কিছুদিন পর খুন হয় জহিরুল বাহিনীর প্রধান জহিরুল। পর্যাত্রুমে ১৯৯১ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত বিভিন্ন বাহিনীর হাতে খুন হয় দোগাছিয়া গ্রামের ভোন, লিয়াকত ডাকাত, জলিল ডাকাত, যুবলীগ নেতা পিকুল হোসেন, ছলেমান, বাগডাঙ্গা গ্রামের কামাল, আব্দার রহমান, ফাতেমা বেগম, আলতাফ হোসেন, সাজিয়ালী গ্রামের সন্ত্রাসী আনিচ, জলিল, গৃহবধু আশুরা বেগম, সুফিয়া বেগম, আওয়ামীলীগ কর্মি শফিকুল  ইসলাম, বিএনপি নেতা আনারুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা মোস্তাফা,  লাল্টু, গোবিলা গ্রামের শফি কদর ও মোশারফ হোসেন কাটু, ছাতিয়ানতলার মধু, মোতাক্কাবার, চুড়ামনকাটির যুবলীগ কর্মি জাকির হোসেন, বেলেরমাঠের বুধো, জগহাটির ব্যবসায়ী মোশারেফ হোসেন, বাদিয়াটোলা গ্রামের কামাল হোসেন,  উল্লেখ্যযোগ্য। এছাড়া পুলিশ বিভিন্ন গ্রাম থেকে সে সময় নিখোঁজ একাধিক ব্যক্তি লাশ উদ্ধার করেছে চুড়ামনকাটি থেকে। যেমন এড়লের বিল থেকে ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালি গ্রামের আরশাদ আলী, জগহাটি জোড়া পোল থেকে আগুনে পোড়া অজ্ঞাত যুবকের লাশ, বাগডাঙ্গা থেকে নিশ্চিপুর গ্রামের এক যুবকের লাশ, বাদিয়াটোলার মাঠ থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এছাড়া সন্ত্রাসী হামলায় হয়ে বর্তমানে পঙ্গু জীবন যাপন করছে এলাকার প্রায় শতাধিক ব্যক্তি। অনেকে সন্ত্রাসী হামলায় পা হারিয়েছে, অনেকে চোঁখ হারিয়েছে, অনেকে হারিয়েছে হাতসহ শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন অঙ্গ। এখনকার মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ইউনিয়নের একটি হত্যা কান্ডের সাথে অন্য হত্যা কান্ডের ছিলো নিবীড় সর্ম্পক। মূলত একটি হত্যাকান্ডের প্রতিশোধ নিতে গিয়ে সংঘটিত হয়েছে অপর একটি খুনের ঘটনা। বিভিন্ন সময় যারা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করতে গিয়ে যারা খুনের শিকার হয়েছিল তাদের সন্তানরা বর্তমানে চরম কষ্টে দিন যাপন করছেন। তাদের মতে, আর যেন কেউ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড না করে। সন্ত্রাসী হামলায় দু’চোখ হারানো আওয়ামীলীগ নেতা মহিউদ্দিন জানান, তিনি যে ভাবে বেচেঁ আছেন সেটি খুবই কষ্টের। তার মতে ইউনিয়নে বিগত দিনে ঘটে যাওয়া একটি খুনেরও সুষ্টু বিচার না হওয়াই বন্ধ হয়নি খনোখুনির ঘটনা।
বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহনের পর সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছিলো সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক ফরিদুলের উপর, আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল মান্নান মুন্নার উপর। এছাড়া হত্যা করেছিলো ঝাউদিয়া গ্রামের আওয়ামীলীগ কর্মি শহিদুল ইসলামকে। যাতে করে আবারো চরম উত্তেজনা শুরু হয়েছিলো ইউনিয়ন জুড়ে। কিন্তু যশোররের পুলিশ প্রশাসনের প্রচেষ্টায় বর্তমানে ইউনিয়নটি সম্পূর্ন শান্ত রয়েছে। শান্তিতে বসবাস করছে বিভিন্ন পেশার মানুষ। এলাকাবাসীর দাবি পুলিশ প্রশাসন বর্তমানের ন্যায় কঠোর থাকলে এখানকার মানুষগুলো আর কখনো দ্বন্দে জড়াতে পারবে না। ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মুন্না বলেন,ইউনিয়নটি বর্তমানে শান্ত আছে। আগামীতেও শান্ত রাখতে তিনি সকলকে সাথে নিয়ে কাজ করবেন বলে জানান।                                       

কোন মন্তব্য নেই:

যে কোন প্রকার নিউজ, মতামত, অভিযোগ পাঠাতে পারেন আমাদের কাছে। যেগাযোগ : ০১৭১৯৯২০৯৮০, ০১৯১৮২৯৪২২৯। ইমেল: jc.com80@gmail.com
আমার মত যারা ইংরেজীতে দূর্বল তাদের জন্য আজ আমি একটা পদ্ধতি এনেছি -যা দিয়ে খুব সহজে ইংরেজী থেকে বাংলায় অনুবাদ করা যাবে।
১. এখানে ক্লিক করুন।