আলী রেজা রাজু ॥ যশোর সদর উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়নের ফুলতলা বাজারে নোটিশ ছাড়াই বিবাদমান জমির উপর নির্মিত একটি মাকের্ট ও একটি বসতবাড়ি ভেঙ্গে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বর্তমানে সৃষ্টি ঘটনায় এলাকাবাসী দু’টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়ায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।
অভিযোগ মতে, সদর উপজেলার ডহেরপাড়া গ্রামের কবির হোসেন ফুলতলা বাজারের নাটুয়া পাড়া রোড়ে একই গ্রামের সাবির মিয়ার ছেলে রুহুল আমিন ও করিম মন্ডলের নিকট থেকে ২০০৩ সালে ৫ শতক জমি ত্রুয় করেন। পরে তিনি উক্ত জমিতে একটি মাকের্ট তৈরি করে রড ও সিমেন্টের ব্যবসা শুরু করেন। পরে উক্ত জমির উপর নজর পড়ে সাবির মিয়ার আরেক ছেলে সুচতুর এ্যাডভোকেট আমির হোসেনের। তিনি উক্ত ৫ শতক জমি তাদের দাবি করে নি¤œ আদালতে হক সেবা করেন। সেখানে তিনি পরাজিত হয়ে গোপনে পুনারায় ২০০৭ সালে জজ র্কোটে হক সেবা করেন। জমির বর্তমান মালিক কবির হোসেনের অভিযোগ, তাকে কোন প্রকার নোটিশ না দিয়ে বৃহস্পতিবার আমির হোসেন জেলা প্রশাসনের লোক, পুলিশ ও বহিরাগত সন্ত্রাসী নিয়ে গোটা মার্কেট টি ভেঙ্গে দেয়। এ সময় কবির হোসেন ও তার লোকজন বাধাঁ দিতে গেলে পুলিশ বলে আমরা কোর্টের নির্দেশে ভাঙ্গতে এসেছি। এলাকাবাসী ও দোকান মালিকের অভিযোগ পুলিশ জমির কোন দলিল না দেখেই মাকের্টটি ভেঙ্গে দেয়। এলাকার কয়েকজন প্রবীন ব্যক্তি জানান, উক্ত জমির সাবেক মালিক ছিলেন আমিরের পিতা। কিন্তু তার মেঝ ছেলে উক্ত ৫ শতক জমি বিত্রিু করে দেয় কবিরের নিকট। যার মুল কাগজ পত্র কবিরের নামে আছে বলেও তিনি জানান।
এদিকে, দোকান মালিক কবির হোসেন অভিযোগ করে বলেন, আমির হোসেন যে জমিতে হব সেবা করেছেন সেখানে তার দোকান না। তারা সম্পূর্ন অন্যায়ভাবে উক্ত দোকান ঘর ভেঙ্গে দিয়েছে। তিনি ক্ষতি পূরনসহ দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান। এ ব্যাপারে এ্যাডভোকেট আমির হোসেন জানান, যেহেতু উক্ত জমিতে মামলা চলছে সেহেতু আদালতের নির্দেশেই বৃস্পতিবার মাকের্টটি প্রশাসন ভেঙ্গে দিয়েছে। তিনি আরো জানান মাকের্ট ভাঙ্গার সময় একজন ম্যাজিট্রেটসহ পুলিশ প্রশাসনের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন