জাহানারা কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার আমাদের আছে- • কম্পিউটার প্রশিক্ষন • কম্পিউটার কম্পোজ • কম্পিউটার সাভিসিং • ইন্টারনেট • ছবি তোলা • আনলাইন ভারতের ভিসা আবেদন • আনলাইন চাকরির আবেদন • পরিক্ষার ফলাফল • আনলাইনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সহ ভবভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভতির আবেদন • এ ছাড়া সকল প্রকার কম্পিউটারের কাজ করা হয় #

বৃহস্পতিবার, ২৫ জুন, ২০১৫

কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে চুড়ামনকাটি এলাকার সবজি চাষিদের ব্যাপক ক্ষতি

মিজানুর রহমান চুড়ামনকাটি (যশোর) থেকেঃ টানা কয়েকদিনের ভারী  বৃষ্টিপাতের কারণে যশোর সদরের চুড়ামনকাটি, কাশিমপুর ও হৈবতপুর ইউনিয়নের সবজি চাষীদের ব্যাপক ক্ষতির শিকার হতে হবে। দিনের পর দিন ক্ষেতে পানি জমে থাকায় বেগুন,কাঁচা মরিচ, সিম, পুইশাক, পটল,শশার দেখা দিয়েছে ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা। কৃষকদের বক্তব্য বর্ষা আরো কয়েকদিন থাকলে তাদের ব্যাপক লোকসানে শিকার হতে হবে। কৃষকদের মতে, বর্ষার শেষে গোটা রমজান জুড়েই সবজির বাজার থাকবে চড়াও। বর্ষায় কাজ করতে না পেরে অসহায় দিন যাপন করছে দৈনন্দিন দিন মুজুর মানুষ।
এ বছর আবহাওয়া সবজি চাষের অনুকুলে থাকায় চুড়ামনকাটি, কাশিমপুর, ও হৈবতপুর ইউনিয়নের মাঠের পর মাঠ বিভিন্ন সবজি চাষ করে কৃষকরা। শুরুতে ভাল ফলনও দেখা দেয় তাদের আবাতকৃত ফসলের ক্ষেতে। অনেকেকে চড়া মূল্যে সবজি বিত্রি“ করে লাভবান হলেও অনেকে এখনো কোন সবজিই বিত্রি“ করতে পারিনি। তারা স্বপ্ন দেখতে থাকে ফসল বিত্রি“র কিন্তু তাদের সেই স্বপ্ন পুরনে বাধা সাধলে বৃষ্টি। বৃহস্পতিবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের বাগডাঙ্গা, দোগাছিয়া, আব্দুলপুর, সাজিয়ালী, কমলাপুরসহ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের শত শত বিঘা কৃষকদের বিভিন্ন সবজির ক্ষেতে পানি জমে রয়েছে। দোগাছিয়া গ্রামের ইউনুচ আলী, তরিকুল ইসলাম ও মশিযার সহ বহু কৃষকের পটল ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে। তাদের দাবি বৃষ্টি থামলেও একন আর ক্ষেতের পটল বাঁচানো সম্ভব নয়। সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হবে একটু নিচু জমিতে সবজি চাষীর দোগাছিয়া গ্রামের বেগুন চাষী ইউনুচ আলী জানান, তার ১০ কাটা বেগুন কেবল মাত্র ধরা শুরু করেছে। যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে তাতে তার বেগুন গাছ মারা যেতে পারে।    ক্ষেতে পানি জমে থাকায় লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন হবে বলে কৃষকরা জানিয়েছেন। ইউনিয়নের শুধুমাত্র চুড়ামনকাটি গ্রামের প্রায় অর্ধশত কৃষকের সিম ও বেগুন ক্ষেতে পানি  জমে রয়েছে বলে জানা গেছে। হৈবতপুর গ্রামের পটল চাষী সাত্তার জানান বৃষ্টির পর যদি ক্ষেতে পানি জমে থাকে তাহলে কিছুদিন পর সব গাছ মারা যায়। এতে করে কৃষকদের এ বছর ব্যাপক লোকসানের শিকার হতে হবে। বিজয় নগর গ্রামের মূলা চাষী রফিকুল ইসলাম জানান, তার এক বিঘা মূলা বিত্রি“ করার মত হলেও অতি বৃষ্টির কারনে পচন দেখা দিয়েছে। তিনি আরো জানান, মূলা দ্রুত পচনশীল হওয়াই বিত্রি“ করা সম্ভব নয়। কৃষকরা জানান,মওসুমের শুরুতে তারা বিভিন্ন মহাজনের নিকট থেকে তেল সার বাকিতে ত্র“য় করে আবাদ করে থাকেন। পরে ফসল বিত্রি“ করে তারা মহাজনদের দেনা পরিশোধ করে থাকেন। কিন্তু এবছর তারা মহাজনদের দেনা পরিশোধ নিয়ে রয়েছে মহাচিন্তায়। অপর দিকে , বর্ষায় কাজ করতে না পেরে অসহায় দিন যাপন করছেন দৈনন্দিন দিন মজুর করা নিম্ন বৃত্ত মানুষ। ফলে জনজীবন হয়ে পড়েছে বিপর্যস্ত।
    এ ব্যাপারে কৃষিবীদ ইউসুফ আলী জানান, বেগুন, পটল শশা, সিম ক্ষেতে পানি জমে থাকায় গোড়া পচে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া এসব ক্ষেতে পানি জমে থাকায় বেশিরভাগ সবজিই নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি আরও বলেন পানি জমে থাকা অবস্থায় যদি রোদ্র ও অত্যাধিক গরম পড়ে তাহলে বেচে থাকা অধিকাংশ সবজি ক্ষেত  নষ্ট হয়ে যাবে।

কোন মন্তব্য নেই:

যে কোন প্রকার নিউজ, মতামত, অভিযোগ পাঠাতে পারেন আমাদের কাছে। যেগাযোগ : ০১৭১৯৯২০৯৮০, ০১৯১৮২৯৪২২৯। ইমেল: jc.com80@gmail.com
আমার মত যারা ইংরেজীতে দূর্বল তাদের জন্য আজ আমি একটা পদ্ধতি এনেছি -যা দিয়ে খুব সহজে ইংরেজী থেকে বাংলায় অনুবাদ করা যাবে।
১. এখানে ক্লিক করুন।