জাহানারা কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার আমাদের আছে- • কম্পিউটার প্রশিক্ষন • কম্পিউটার কম্পোজ • কম্পিউটার সাভিসিং • ইন্টারনেট • ছবি তোলা • আনলাইন ভারতের ভিসা আবেদন • আনলাইন চাকরির আবেদন • পরিক্ষার ফলাফল • আনলাইনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সহ ভবভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভতির আবেদন • এ ছাড়া সকল প্রকার কম্পিউটারের কাজ করা হয় #

বুধবার, ৩ আগস্ট, ২০১৬

একটু বৃষ্টি হলেই ক্লাস রুমে পানি জমে


আজ থেকে অনুষ্টিত দ্বিতীয় সাময়িক পরিক্ষা গ্রহনে চরম অনিশ্চিতা দেখা দিয়েছে বড় হৈবতপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে

===============================
মিজানুর রহমান, চুড়ামনকাটি (যশোর) থেকে ॥ আজ বুধবার থেকে অনুষ্টিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সাময়িক পরিক্ষা গ্রহনে চরম অনিশ্চিতা দেখা দিয়েছে হৈবতপুর ইউনিয়নের বড় হৈবতপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে। বিদ্যালয়ের টিনের ছাউনি ছিদ্র হওয়াই একটু বৃষ্টি হলেই ক্লাস ও অফিস রুমে হাটু পানি জমে যায়। বর্ষায় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ভিজে ভিজে ক্লাস করতে বাধ্য হয়। একটু ভারী বৃষ্টি হলে স্কুলের কোথাও দাড়ানোর মত শুকনো জায়গা থাকে না। স্কুলের মূল্যবান কাগজপত্র রাখা হয় শিক্ষকদের বাড়িতে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ইসরত জাহান জানান, বর্তমানে স্কুলটিতে ১৭০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। ৫ জন শিক্ষক শিক্ষিকার মধ্যে একজন শিক্ষক প্রশিক্ষনে থাকায় বর্তমানে রয়েছে ৪ জন শিক্ষক। ১৯৯৫ সালে ৩৩ শতক জমির উপর টিন সেট দিয়ে ৪ রুম বিশিষ্ট্য বিদ্যালয়টি নির্মান করা হয়। বর্তমানে সেই টিন সেটের রুমেই চলছে পাঠদান। সরেজমিন বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি রুমের ছাউনির টিনে দেখা দিয়েছে বড় বড় ছিদ্র। বর্তমানে বর্ষা মওসুম হওয়াই একটু বৃষ্টি হলেই ক্লাস রুমের ভিতরে জমে যায় পানি। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির পানিতে ভিজে ভিজে ক্লাস করে। সরকারীভাবে বরাদ্দকৃত বিস্কুট ও মূল্যবান কাগজপত্রসহ বিভিন্ন জিনিস বৃষ্টির পানিতে নষ্ট হওয়ার ভয়ে রাখা হয় শিক্ষকদের বাড়িতে। 
শিক্ষার্থীরা জানায়, আজ থেকে তাদের দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা অনুষ্টিত হবে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আরো জানান, বৃষ্টি হলে অতি কষ্টে শিক্ষার্থীদের পরিক্ষা দিতে হবে। বেঞ্চের উপর খাতা রাখা হবে কষ্টকর। তিনি আরো বলেন, পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে বৃষ্টি হলে হয়তো বা পরিক্ষা বন্ধ রাখা ছাড়া উপায় থাকবে না। বিদ্যালয়ের সভাপতি হৈবতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম জানান, বারবার সংশ্লিট কর্তৃপক্ষে জানানোর পরও তারা কোন ব্যবস্থা না নেওয়াই বিদ্যালয়ের এমন দশা। বৃষ্টির মধ্যেই শিক্ষার্থীদের পরিক্ষা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান। তিনি আরো জানান, পরিক্ষার সময় বৃষ্টি হলে পরিক্ষা বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া উপায় থাকবেনা। এছাড়া বারবার বিদ্যুতের জন্য যোগাযোগ করা হলেও আজোও বিদ্যালয়টিতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়নি। ফলে প্রচন্ড গরমে শিক্ষার্থীরা টিন সেটের ঘরে ক্লাস করতে বাধ্য হয়। ৪ নং হৈবতপুর ইউপি সদস্য মকবুল হোসেন জানান, এলাকার ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ারমত এই বিদ্যালয়টিই একমাত্র প্রতিষ্টান। অথচ বেহাল দশার মধ্যেই চলছে এখানকার শিক্ষা কার্যত্রুম। 
বেগম নামের একজন শিক্ষার্থীর মা জানান, বৃষ্টির মাঝে তাদের সন্তানরা ভিজে ভিজে ক্লাস করে। স্কুল থেকে বাড়িতে যায় প্রায়ই ভিজে পোশাকে। দ্বিতীয় শ্রেনীর শিক্ষার্থী ছোয়া খাতুন বলে,বৃষ্টির মধ্যে তারা প্রতিদিনই ভিজে ক্লাস করে। পঞ্চম শ্রেনির এক শিক্ষার্থী জানায়, বৃষ্টি হলেও তারা পরিক্ষা দিতে চাই। সে আরো জানায়, বাড়ি থেকে ছাতা নিয়ে এসে পরিক্ষা দিবো। শিক্ষার্থীদের এই কঠোর মনোবলের নিকট বৃষ্টি বাধাঁ হতে পারবে না বলে অভিভাবকরা মনে করেন। এদিকে, প্রবল বর্ষার মধ্যে পরিক্ষার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। বৃষ্টির ফাঁকে ফাঁকে পরিক্ষা সম্পন্ন করাতে চাই তারা। স্কুলের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা সহ অভিভাবক মহল দ্রুত স্কুলটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।

কোন মন্তব্য নেই:

যে কোন প্রকার নিউজ, মতামত, অভিযোগ পাঠাতে পারেন আমাদের কাছে। যেগাযোগ : ০১৭১৯৯২০৯৮০, ০১৯১৮২৯৪২২৯। ইমেল: jc.com80@gmail.com
আমার মত যারা ইংরেজীতে দূর্বল তাদের জন্য আজ আমি একটা পদ্ধতি এনেছি -যা দিয়ে খুব সহজে ইংরেজী থেকে বাংলায় অনুবাদ করা যাবে।
১. এখানে ক্লিক করুন।