জাহানারা কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার আমাদের আছে- • কম্পিউটার প্রশিক্ষন • কম্পিউটার কম্পোজ • কম্পিউটার সাভিসিং • ইন্টারনেট • ছবি তোলা • আনলাইন ভারতের ভিসা আবেদন • আনলাইন চাকরির আবেদন • পরিক্ষার ফলাফল • আনলাইনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সহ ভবভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভতির আবেদন • এ ছাড়া সকল প্রকার কম্পিউটারের কাজ করা হয় #

রবিবার, ৮ নভেম্বর, ২০১৫

চড়া মূল্যে দারুন খুশি কৃষক

রোববার ছিলো বারীনগর কাঁচা বাজারে শীতকালীন সবজিতে ঠাসা
++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মিজানুর রহমান চুড়ামনকাটি (যশোর) থেকে ঃ রোববার যশোরের সবচেয়ে বড় সবজি বাজার বারীনগর কাঁচা বাজারে বিভিন্ন শীতকালীন সবজিতে ঠাসা ছিলো। বাজারের ভিতরে স্থান না পেয়ে অনেকে রাস্তার উপর দাড়িয়ে তাদের সবজি বিত্রিু করে। বাজারের যেদিকে চোখ যায় সেদিকে নানান শীতকালীন সবজিতে ভরা ছিল। ভরা মওসুমে কৃষকরা দাম চড়াও পেয়ে ছিল দারুন খুশি। কৃষকরা জানান বর্তমানের বাজার দর আরো কিছুদিন থাকলে বর্ষা মওসুমের ক্ষতি পুষিয়ে যাবে তাদের।

বিগত বছরের তুলনায় এ বছর যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি, হৈবতপুর ও কাশিমপুর ইউনিয়নের সবজি চাষীরা দ্বিগুন শীতকালীন সবজি চাষ করেছিল। বর্ষা মওসুমে অনেক চাষীর সবজি নষ্ট হওয়াই মাথায় লোকসানের বোঝা নিয়েই তারা শীতকালীন সবজি চাষ করে। শীতকালীন সবজি বাজারের আসতে শুরু করলেও শুরুতেই কৃষকরা দাম পায় অনেকটা চড়া। কৃষকদের ধারনা মতে ভরা মওসুমে বিগত বছরগুলোতে এমন চড়াও মূল্য তারা পায়নি। এ বছর সবজির চড়া মূল্যে তারা অনেক লাভবান হবেন বলে আশাবাদী। সরেজমিনে রোববার যশোরের সবচেয়ে বড় কাঁচা বাজার বারী নগর বাজারে গিয়ে দেখা যায়,বিগত দিনের চেয়ে বাজারে শীতকালীন বিভিন্ন সবজি অনেক বেশি। সবজি বেশি হলে দাম ছিলো চড়াও। তবে কৃষকদের অভিযোগ এখান থেকে সবজি কিনে পাইকারী ব্যাপারিসহ খুচরা ব্যবসায়ীরা সেটি আবার দ্বিগুন মূল্যে বিত্রিু করে থাকে। তবে পাইকারী ব্যবসায়ীরা জানান,আগে যে টাকায় পরিবহন পাওয়া যেত সেটি এখন এই প্রায় দ্বিগুন হয়ে গেছে। যেকারনে ব্যবসায়ীদের লাভ অনেকটা কম হচ্ছে। রোববার বারীনগর বাজারে শীতকালীন সবজি যেমন ফুল কপি পাইকারী বিত্রিু হয়েছে ৩৫/৩৭ টাকা প্রতি কেজি, পাতাকপি পিচ প্রতি ১৫/১৬ টাকা, সিম প্রতি কেজি ৩০/৩৫ টাকা, মূলা প্রতি কেজি ৮/১০ টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৩৫/৪০ টাকা, বেগুন ৩০/৩২ টাকা, পালনশাক ১০/১২ টাকা, লাউ ১৫/২০ টাকা প্রতি পিছ, শাকের ডাটা ৮/১০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিত্রিু হয়েছে। ভরা মওসুমে সবজির এমন দামে দারুন খুশি কৃষকরা। কাশিমপুর ইউনিয়নের বিজয় নগর গ্রামের রফিকুল ইসলাম জানান, সকালে তিনি ৫০০ পাতা কপি বাজারে বিত্রিুর জন্য বাজারে এনে তিনি প্রতি পিচ ১৪ টাকা দরে বিত্রিু করেছেন। যা বিগত বছরের তুলনায় অনেক বেশি বলে তিনি জানান। হৈবতপুর গ্রামের ফুল কপি চাষী সাত্তার জানান, এ বছর সবজি চাষীদের জন্য খুবই ভাল। তার মতে, বাজার ব্যবস্থা এমন থাকলে বর্ষা মওসুমের ক্ষতি অনেকটা পুষিয়ে নিতে পারবেন কৃষকরা। বাজার ঘুরে দেখা গেছে সবজি বিত্রিু করতে আশা সকল কৃষকের মুখে ছিলো হাসি। চুড়ামনকাটি, কাশমপুর ও হৈবতপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, এখনো মাঠের পর মাঠ শীতকালীন সব বাহারী সবজিতে ভরা। তবে বাজারের ন্যায্য মূল্য নিয়ে আশংকায় কৃষকরা। হৈবতপুর গ্রামের সবজি চাষী, ছাত্তার, গাফ্ফার, শহিদুল ইসলাম, আয়ুব আলী সহ প্রায় অর্ধ শতাধিক কৃষকের বিভিন্ন প্রকারের আনুমানিক ১০০ বিঘা সবজি এখনো মাঠেই রয়েছে। যা দ্রুত বিত্রিু করবেন বলে তারা জানান। দাম চড়াও থাকায় অনেকে সবজি বিত্রিুর পর আবারো শুরু করেছে সবজি চাষ। কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চুড়ামনকাটি, হৈবতপুর ও কাশিমপুর ইউনিয়নের আবাদি জমির বেশির ভাগ জমিতেই সবজি চাষ করে থাকে কৃষকরা। এই ৩ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের মাঠের পর মাঠ এখনো শীতকালীন সবজিতে এখনো ঠাসা রয়েছে। যশোর সদরের দোগাছিয়া গ্রামের বেগুন চাষী আকরাম হোসেন, জানান এ বছর বেগুনের বাম্পার ফলন হয়েছে। শুরুতে দাম ও পেয়ে ছিলাম ভাল। বর্তমানের বাজার দাম থাকলে তার মতে, তিনি ব্যাপক লাভবান হবেন।
এলাকার সবজি চাষিরা জানান,সরকার যদি এখানে একটি সবজি সংরক্ষনের জন্য হিমাগার তৈরি করে দেয় তাহলে তারা আরো লাভবান হবেন। তাদের মতে, তারা বাজার ব্যবস্থা দেখে সবজি বাজারের বিত্রিু করতে পারতো। কৃষিবীদ ইউসুফ আলী জানান, যেহেতু বেগুন, সিম, কপিসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজি সময়মত ক্ষেত থেকে না তুলতে পারেলে সেটি নষ্ট হয়ে যায়। তাই কৃষকদের সবজি সংরক্ষনের জন্য এখানে একটি হিমাগারের প্রয়োজন। তাহলে প্রতি বছর কৃষকদের আর লোকসান গুনতে হবে না।

কোন মন্তব্য নেই:

যে কোন প্রকার নিউজ, মতামত, অভিযোগ পাঠাতে পারেন আমাদের কাছে। যেগাযোগ : ০১৭১৯৯২০৯৮০, ০১৯১৮২৯৪২২৯। ইমেল: jc.com80@gmail.com
আমার মত যারা ইংরেজীতে দূর্বল তাদের জন্য আজ আমি একটা পদ্ধতি এনেছি -যা দিয়ে খুব সহজে ইংরেজী থেকে বাংলায় অনুবাদ করা যাবে।
১. এখানে ক্লিক করুন।