মিজানুর রহমান, চুড়ামনকাটি (যশোর) থেকে ॥ যশোরের চৌগাছা উপজেলার আফরা চন্দ্রপুর গ্রামের এক ভুমি দস্যুর বিরুদ্ধে অসহায় ভিখারীনির বসত ভিটা নিজ নামে লিখে নেওয়া ও বাড়ি ছাড়া করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাড়ি ছাড়া অসহায় ভিখারিনী বৃদ্ধা বিচারের আশায় সমাজের বিত্তমানদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। এ ব্যাপরে তিনি চৌগাছা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ মতে,উপজেলার আফরা চন্দ্রপুর গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিনের স্ত্রী জাহানারা বেগম(৮০) বর্তমানে ভিক্ষা করে জীবন চালাচ্ছেন। তিনি নিজ গ্রামে স্বামীর রেখে যাওয়া ৭ শতক জমির উপর বাড়ি তৈরি করে বসবাস করে আসছেন। অসহায় বৃদ্ধার ভিটা বাড়ির উপর নজর পড়ে একই গ্রামের ভুমি দস্যু মুরাদ আলীর। তিনি অসহায় মহিলার দেখাশুনার কথাবলে বাড়ি যাতায়াত শুরু করেন। অভিযোগে বলা হয়, বিগত ৪/৫ বছর পূর্বে তিনি অসুস্থ হলে তাকে ডাক্তারের নিকট নিয়ে যাওয়ার কথা বলে চৌগাছায় নিয়ে তার নামের ভিটাবাড়ির ৭ শতক জমি মুরাদ নিজ নামে লিখে নেন। সম্প্রতি বিবাদী মুরাদ আলী গত ২ সেপ্টম্বর আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয় এবং বলে আমি তার নিকট জমি বিত্রিু করে দিয়েছি। শুধু জমি দখল নয় সে আমার পোষা ১২ টি ছাগল, জমির উপর থাকা ৩টি কড়াই গাছ জোর পূর্বক বিত্রিু করে নেয়। বর্তমানে অসহায় বৃদ্ধা মহিলা গ্রামের জলিলের বাড়িতে বসবাস করছেন। এ ব্যাপারে বৃদ্ধা মহিলা গত ১৫ জানুয়ারী চৌগাছা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করনে। অভিযোগ, দায়েরর পর মুরাদ আলীর অত্যাচার আরো বেড়ে গেছে। বৃদ্ধাকে গ্রাম না ছাড়লে খুন জখমের হুমকি দিচ্ছে বলে জানা গেছে। সুষ্ট বিচারের আশায় দীর্ঘ ৯ মাস যাবত বৃদ্ধা মহিলা সমাজের বিত্তমানদের দ্বারে দ্বারে ঘুরলেও তিনি বিচার পাচ্ছেনা বলে তার অভিযোগ। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, মুরাদ আলী প্রভাবশালী হওয়াই ভয়ে তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস পায়না। বিগত দিনে তার নামে এ ধরনের একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। অসহায় বৃদ্ধা মহিলা তার বসত ভিটা ফিরে পেতে ও মুরাদের দৃষ্টন্তমূলত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন প্রশাসনের প্রতি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন