মিজানুর রহমান, চুড়ামনকাটি (যশোর) থেকে ॥ আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের অন্যতম নেতা আব্দুল মান্নান মুন্না দলীয় মনোনয়ন পেতে ইতিমধ্যে নির্বাচনী কার্যত্রুম শুরু করেছেন পুরোদমে। প্রতিদিন কাক ডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দলীয় নেতাকর্মী ও ভোটারদের মন পেতে বিভিন্ন কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে তাকে নিয়ে ভোটারদের মাঝে চুলচেরা হিসাব নিকাশ শুরু হয়েছে গোটা ইউনিয়ন জুড়ে।
এখানে নির্বাচনী আলোচনায় এবার চেয়ারম্যান হিসাবে নতুন মুখ দেখতে বিভোর সাধারণ মানুষ। স্থানীয় বাজার, চায়ের দোকান ও পাড়া মহল্লায় চলছে নির্বচনী আলোচনা। ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের আশা ব্যাক্ত করলেন আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রতাশীত গতবারের দলীয় একক প্রার্থী আব্দুল মান্নান মুন্না। তিনি বলেন যশোর জেলার মধ্যে চুড়ামনকাটি ইউনিয়নকে মডেল করায় হবে তার মূল লক্ষ্য। এছাড়া নির্বাচনে জয়লাভ করলে বিগত সময়ে অঙ্গিকার ভঙ্গকারী বিএনপি সমর্থীত চেয়ারম্যানের রেখে যাওয়া সকল কাজ সমাপ্ত করা হবে তার প্রধান কাজ। তিনি মনে করেন র্দীঘ দিন যাবত এ ইউনিয়নে আওয়ামীলীলীগের চেয়ারম্যান না থাকায় বারবার অবহেলিত এখানকার মানুষ। দলীয় মনোনয়ন পাওয়া ও নির্বাচনে জয়লাভের পর ইউনিয়নবাসীর জন্য তার ইচ্ছা নিয়ে তিনি দৈনিক গ্রামের কাগজকে একান্ত সাক্ষাতকার দিয়েছেন। নিচে তার দেওয়া সাক্ষাতকারটি তুলে ধরা হল ঃ
কাগজ ঃ কেমন আছেন
মুন্না ঃ আপনাদের দোয়া ও ভালবাসায় আল্লাহর রহমতে ভালই আছি ।
কাগজ ঃ শুনেছি আপনি এবারও নাকি নির্বাচন করবেন।
মুন্না ঃ অবশ্যই নির্বাচন করবো। গত নির্বাচনে আমি এই ইউনিয়ন থেকে আওয়ামীলীগের পক্ষে নির্বাচন করি এবং সীমিত ভোটে পরাজিত হই। বর্তমানে গোটা ইউনিয়ন জুড়ে আমার যে নির্বাচনী জনপ্রিয়তা তাতে করে নির্বাচন না করার কোন প্রশ্নই আসেনা।
কাগজ ঃ দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে কিছু বলেন ঃ
মুন্না ঃ দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী। কারন দলের যেকোন কর্মকান্ড আমি দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে করে আসছি। বিগত নির্বাচনে পরাজিত হয়েও আমি ইউনিয়নবাসী ও দলের নেতাকর্মীদের সুখে দুঃখে সব সময় আছি এবং থাকবো। দলের সার্বিক কর্মকান্ড বিচার বিশ্লেষন করলে আমাকে অব্যশই মনোনয়ন দেবে দল।
কাগজ ঃ বর্তমানে ইউনিয়নবাসীর জন্য আপনি কি করেছেন বলনু ঃ
মুন্না ঃ আমাদের দল ক্ষমতায় থাকলেও বিএনপি সমার্থিত চেয়ারম্যান হওয়াই ইউনিয়নবাসী তেমন সেবা পায়না। আমি আমার দলের জেলা কমিটির মাধ্যমে অবহেলিত এ ইউনিয়নের কাঁচা রাস্তা পাঁকাকরন ও বিদ্যুৎ উন্নয়নে ও সাধারন মানুেষর সকল সমস্যা সমাধানে নিরালসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। ইউনিয়নবাসী আমাকে চেয়ারম্যান হিসাবে জয়লাভ করালে আমি ইউনিয়নবাসীর ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যাবো। তাইতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবার আশায় ছুটে চলেছি গোটা ইউনিয়নের মানুষের দ্বারে দ্বারে। ভোট ভিক্ষা চাচ্ছি সাধারণ মানুষের কাছে।
কাগজ ঃ ইউনিয়নে শান্তি বজায় রাখতে আপনার ভূমিকা কেমন ঃ
মুন্না ঃ দেখুন বিগত সরকারের সময় গোটা ইউনিয়ন জুড়ে মামলা হামলা লেগেই থাকতো। আমার দল ক্ষমতায় আসার পর আমি তৃনমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে হামলা মামলা বন্ধ করেছি। বর্তমানে মানুষ এখানে শান্তিতে বসবাস করছে।
কাগজ ঃ দলীয় প্রতীতে নির্বাচন প্রসঙ্গে কিছু বলুন ঃ
মুন্না ঃদলীয় প্রতীকে নির্বাচন হওয়াই এবার ভোট দিতে মানুষের ভাল হবে উল্লেখ্য করে তিনি বলেন,এতে ভোট নষ্ট হবে কম । তাছাড়া স্থানীয় নির্বাচন হওয়াই জাতীয় নির্বাচনের ন্যায় নয় এখানে ব্যক্তি ইমেজেও ভোট পাওয়া যাবে। এতে সাধারন ভোটারদের কোন সমস্যা হবে না।
কাগজ ঃ শুনেছি আপনার দলে একাধিক ব্যক্তি দলীয় মনোনয়ন পাওয়াই কাজ শুরু করেছে ঃ
মুন্না ঃ দেখুন মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে যে কেউ আবেদন ও মাঠ পর্যায়ে জন সর্মাথন পেতে কাজ করতে পারে। এখানে দলীয় হাই কমান্ড অবশ্যই গোটা ইউনিয়নে যার বেশি জনপ্রিয়তা তাকেই মনোনয়ন দেবেন বলে আমি আশাবাদী।
কাগজ ঃ সত্রুাসীদের দমনে আপনার ভূমিকা কি?
মুন্না ঃআমি বরাবরিই সত্রুাসীদের বিরুদ্ধে অবস্থান করি। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে সবার আগে আমি চুড়ামনকাটি ইউনিয়নকে যশোর জেলার মধ্যে সত্রুাস মুক্ত করবো।
কাগজ ঃ আপনার ইউনিয়নের মাদক বন্ধে কিছু বলনু ঃ
মুন্না ঃ মাদকের বিরুদ্ধে আমার সব সময় জিহাদ। মাদক বন্ধে আমি সকলের সাথে নিয়ে কাজ করবো।
কাগজ ঃ দলীয় নেকাকর্মীদের সর্ম্পকে কিছূ বলুন ঃ
মুন্না ঃ দেখুন বিগত দিনে আমারসহ দলীয় নেতাকর্মীদের নামে একর পর এক মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন একটি মহল। দীর্ঘ দিন তাদের অত্যাচারের ভয়ে পালিয়ে দিনযাপন করেছে অসংখ্য নেতাকর্মী। এতকিছুর পরও আমি তৃনমূল নেতাকর্মীদের পাশে সব সময় ছিলাম। সুখে দুঃখে তাদেরকে সাথে নিয়েই আমি চলেছি। তাইতো দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা আমাকে ভোট দেব এটাই আমার চাওয়া। তিনি আরো বলেন, বিগত দিনে যারা হত দরিদ্র হয়েও তাদের ন্যায্য অধিকার ভিজিডি, ভিজিএফ, বয়স্কভাতা, বিধবা ভাতা সহ বিভিন্ন সরকারী সম্পদ থেকে করা হয়েছে বঞ্চিত আমি তাদেরসহ যারা সত্যকারের প্রাপ্য তাদের দিতে চাই। তাছাড়া ইউনিয়নবাসী এবার ইউপি নির্বাচন নতুন প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত করে ইউনিয়নের অবহেলিত গ্রাম গুলোর ভাগ্যের পরিবর্তন করতে চায়।
কাগজ ঃ দল আপনাকে মনোনয়ন না দিলে আপনি কি নির্বাচন করবেনঃ
মুন্না ঃ দেখুন আমি নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করতে রাজনীতি করিনা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জননেত্রী শেখ হাসিনার আর্দশকে বাস্তবায়নের লক্ষে রাজনীতি করি। দল যদি আমাকে মনোনয়ন না দেয় তাহলে আমি নির্বাচন করামানেই দলীয় সিধান্ত অমান্য করা। আর আমার পক্ষে সেটি সম্ভব নয়। তবে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী। নির্বাচনে জয়লাভ করলে গোটা ইউনিয়নের বিভিন্ন অবহেলিত গ্রামের রাস্তা গুলো পাকা করন সহ সকল সমস্যা সমাধানে নিরালসভাবে কাজ করে যাবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন