একান্ত সাক্ষাতকারে আ’লীগ নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন ঃ

চেয়ারম্যান নই জনগনের সেবক হতে চাই

মিজানুর রহমান, চুড়ামনকাটি (যশোর) থেকে ॥ আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে যশোরের এক সময়ের তুখোড় ছাত্র নেতা ও চুড়ামনকাটি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সিনিয়র সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন দলীয় মনোনয়ন পেতে ইতিমধ্যে নির্বাচনী কার্যত্রুম শুরু করেছেন পুরোদমে। তিনি প্রতিদিন দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে ভোটারদের মন পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। দীর্ঘদিন আওয়ামীলীগের হাত ছাড়া এ ইউনিয়নে এবার চেয়ারম্যান হিসাবে নতুন মুখ দেখতে বিভোর সাধারণ মানুষ। চেয়ারম্যান হয়ে তিনি জনগনের শাসক নয় সেবক হয়ে কাজ করার আশা ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন যশোর জেলার মধ্যে চুড়ামনকাটি ইউনিয়নকে মাদক ও সত্রুাসমুক্ত করায় হবে তার প্রধান কাজ।
দলীয় মনোনয়ন পাওয়া ও নির্বাচনে জয়লাভের পর ইউনিয়নবাসীর জন্য তার নানান ইচ্ছা নিয়ে তিনি দৈনিক গ্রামের কাগজকে একান্ত সাক্ষাতকার দিয়েছেন। 

১৯৭৭ সাল থেকে ছাত্র মৈত্রীর রাজনীতির মধ্যে দিয়ে তার রাজনীতি শুরু। ১৯৮৪ সালে তিনি যশোর এম এম কলেজের ছাত্র মৈত্রির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি যশোর জেলা ছাত্র মৈত্রীর সহ- সভাপতি ও সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব ও পালন করেন পর্যায়ত্রুমে। এরপর সদর আসনের সাবেক সংসদ ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলী রেজা রাজুর হাত ধরে তিনি আওয়ামীলীগের রাজনীতি শুরু করেন। ছাত্র রাজনীতি করার কারনে তিনি এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সময়  র্দীঘ ৯ মাস কারা ভোগ করেন। এছাড়া সে সময় তার নামে একাধিক রাজনৈতিক মিথ্যা মামলা ও হয়েছিল। বর্তমানে তিনি সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয় আওয়ামীলীগের সিনিয়র সদস্য হিসাবে আছেন। এবারে ইউপি নির্বাচনে তিনি দলীয় প্রার্থী হিসাবে মনোনয় পেতে পুরোদমে নির্বাচনী কার্যকত্রুম শুরু করেছেন। দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে তিনি শতভাগ আশাবাদী। তিনি মনে করেন তৃনমূল নেতাকর্মীদের নিয়ে কাউসিলের মাধ্যামে মনোনয়ন দেওয়া হলে আমি অবশ্যাই দলীয় মনোনয়ন পাবো। কারন দলের যেকোন কর্মকান্ড আমি দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে করে আসছি। আমি সব সময় ইউনিয়নের দলের নেতাকর্মীদের সুখে দুঃখে সব সময় আছি এবং থাকবো। আমি আমার দলের জেলা কমিটির মাধ্যমে অবহেলিত এ ইউনিয়নের একটি কাঁচা রাস্তা পাঁকাকরন ও একটি গ্রামের ৪৫টি বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। এছাড়া সাধারন মানুেষর সকল সমস্যা সমাধানে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। ইউনিয়নবাসী আমাকে চেয়ারম্যান হিসাবে জয়লাভ করালে আমি ইউনিয়নবাসীর সেবক হয়ে তাদের খেদমত করে যেতে চাই। তাইতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবার আশায় ছুটে চলেছি গোটা ইউনিয়নের  মানুষের দ্বারে দ্বারে। ভোট ভিক্ষা চাচ্ছি সাধারণ মানুষের কাছে। দলের মধ্যে একাধিক প্রার্থীর প্রচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন,দেখুন মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে যে কেউ আবেদন ও মাঠ পর্যায়ে জন সর্মাথন পেতে কাজ করতে পারে। আমি বরাবরই মাদক ও সত্রুাসীদের বিরুদ্ধে অবস্থান করি। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে সবার আগে আমি চুড়ামনকাটি ইউনিয়নকে যশোর জেলার মধ্যে মাদক ও সত্রুাস মুক্ত করবো। দেখুন বিগত দিনে আমারসহ দলীয় নেতাকর্মীদের নামে একর পর এক  মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন একটি মহল। দীর্ঘ দিন তাদের অত্যাচারের ভয়ে পালিয়ে দিনযাপন করেছে অসংখ্য নেতাকর্মী। এতকিছুর পরও আমি তৃনমূল নেতাকর্মীদের পাশে সব সময় ছিলাম। সুখে দুঃখে তাদেরকে সাথে নিয়েই আমি চলেছি। তাইতো দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা আমাকে ভোট দেব এটাই আমার চাওয়া। তিনি আরো বলেন, বিগত দিনে যারা  হত দরিদ্র হয়েও তাদের ন্যায্য অধিকার ভিজিডি, ভিজিএফ, বয়স্কভাতা, বিধবা ভাতা সহ বিভিন্ন সরকারী সম্পদ থেকে করা হয়েছে বঞ্চিত আমি তাদেরসহ যারা সত্যকারের প্রাপ্য তাদের দিতে চাই। তাছাড়া ইউনিয়নবাসী এবার ইউপি নির্বাচন নতুন প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত করে ইউনিয়নের অবহেলিত  গ্রাম গুলোর ভাগ্যের পরিবর্তন করতে চায়। নির্বাচনে জয়লাভ করলে গোটা ইউনিয়নের বিভিন্ন অবহেলিত গ্রামের রাস্তা গুলো পাকা করন সহ সকল সমস্যা সমাধানে নিরালসভাবে কাজ করে যাবে।